শিক্ষণীয় গল্প: বিশ্বাসের পুরুস্কার!
অনেক দিন আগের কথা। পারস্য দেশে এক মজার ঘটনা ঘটেছিল। হামিদ আল নাহিদ নামে এক খাঁটি মুসলমান সে দেশে বাস করতেন। তিনি হঠাৎ করে এক মহা ভাবনাই পড়লেন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হয়েছে। নামাজ আদায় করতে হবে।
অথচ তার নিজের গাধাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আটা গুলো মিল ঘরেই রয়ে গেছে, এছাড়াও ফসলের ক্ষেতে পানি সেচ দিতে হবে। নামাজ আদায় করতে গেলে গাধাটা তালাশ করা হয় না। তাছাড়া আজকে হাটবার, চোর ডাকাতেরও ভয় আছে। বলা যায় না, গাধাটা চুরি হয়ে যেতে পারে। এদিকে ১টার সময় মিল বন্ধ হয়ে যাবে। পরেরদিন আবার ১০টার আগে মিল খুলবে না।
আটা না আনলে ছেলে মেয়ে না খেয়ে থাকবে। আবার ধানের ক্ষেতে পানি সেচ না দিলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। সারা বছর খাবে কি? তিনটি কাজ খুবই জরুরি।
শেষ পর্যন্ত হামিদ আল নাহিদ সব বাদ দিয়ে নামাজ পড়তেই চলে গেলেন। আশ্চর্য! বাড়ি পৌঁছে দেখতে পেলেন ফসলের ক্ষেতে পানি জমে আছে, গাধাটা সুখে জাবর কাটছে এবং বেগম সাহেবা রুটি তৈরি করছেন।
হামিদ আল নাহিদ পরম খুশিতে বেগম সাহেবার কাছে সব কটি ঘটনা জানতে চাইলেন।
বেগম সাহেবা বললেন, একটা বাঘ গাধাটাকে তাড়া করেছে, যার ভয়ে গাধাটা হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়িতে চলে এসেছে। আমাদের পাশের ক্ষেতের মালিক কল ছেড়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছিল। পানির বেগ ছিল বেশি। তার ক্ষেত তো ভিজেছেই আমাদেরটাও ভিজেছে।
পাশের বাড়ির ভদ্রলোক মিলঘর থেকে তার আটার থলের পরিবর্তে ভূলকরে আমাদেরটা নিয়ে এসেছেন। আর কি করবেন, আমাদের আটার থলে বাড়িতে দিয়ে গেলেন। এসব ঘটনা শুনে হামিদ আল নাহিদের মন খুশিতে ভরে গেল।
তিনি পরম করুণাময়ের কাছে অশেষ শুকরিয়া প্রকাশ করলেন। আল্লাহ সর্বত্র আছেন, তিনি আল্লাহওয়ালাদেরকে সব কাজ সহজ করে দেন। এর প্রমাণ হামিদ আল নাহিদ একটি মাত্র সৎ কাজের জন্য তিনটি পুরস্কার পেলেন।
শিক্ষা:
আল্লাহর হুকুম পালনকারীদেরকে আল্লাহ বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করেন।
Post a Comment