পুরুষগণ আল্লাহ প্রদত্ত এক অশেষ নেয়ামত
একজন স্ত্রী ১৭ বৎসর ঘর-সংসার করার পর স্বামীর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “পুরুষগণ আল্লাহ প্রদত্ত এক অশেষ নেয়ামত”।
কেননা, তারা স্বীয় যৌবনকে নিজ স্ত্রী-সন্তানদের জন্য কুরবান করে দেয়। তাদের উপর ভর করেই আমরা জীবনের সুখ-শান্তি ও অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি।
পুরুষ জাতি তো এমন এক স্বত্বা, যারা স্বীয় সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের জন্য সর্বাত্মক পরিশ্রম করে থাকেন।
কিন্তু এমন কঠোর পরিশ্রম আর কুরবানী সত্যেও আমরা তাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলি একরাশ হতাশা আর দুঃখ-কষ্ট দিয়ে।
যদি তারা একটু ফ্রেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাহিরে যায় তাহলে বলি,’বে-পরওয়াহ’
যদি ঘরে বসে থাকে তাহলে বলি, অলস ও অকর্মণ্য!
যদি সন্তানদের ভুলের জন্য শাসন করে তাহলে বলি, নির্দয় ও হিংস্র!
যদি স্ত্রীকে চাকরী করা থেকে বারণ করে তাহলে বলি, সেকেলে বা অনাধুনিক!
যদি মায়ের সাথে সুসম্পর্ক রাখে তাহলে বলি,’মা পাগল’
যদি স্ত্রীর সাথে প্রেমময় আচরণ করে তাহলে বলি, বৌ পাগল!
এতদসত্যেও একজন পুরুষ পৃথিবীর এমন বীর, যে তার সন্তানদেরকে সর্বক্ষেত্রে নিজের চেয়েও সুখি দেখতে চায়।
একজন পিতা এমন এক রোবট, যিনি তার সন্তানদের থেকে সর্বদিক থেকে নৈরাশ হওয়ার পরেও তাদের মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে এবং সর্বদা তাদের মঙ্গলের জন্য দুআ করে।
একজন বাবা তো এমন এক মহাপুরুষ , যিনি স্বীয় সন্তানদের সকল কষ্ট সহ্য করেনেন। তখনও, যখন সন্তান বাবার পায়ের উপর পা রেখে চলতে শিখে এবং তখনও, যখন বড় হয়ে বাবার বুকের উপর পা রেখে চলে যায়।
একজন বাবা পৃথিবীর এমন এক নেয়ামত, যিনি সারাজীবনের কষ্টার্জিত মহামূল্যবান সম্পদগুলো অকাতরে সন্তানদেরকে দিয়ে দেন।
যদি মা সন্তানদেরকে ৯ মাস পেটে ধারণ করে থাকেন; তবে বাবা সারাজীবন স্বীয় ব্রেইনের মধ্যে ধারণ করে চলতে থাকেন। পৃথিবীটা ততক্ষণই সু্ন্দর ও উপভোগ্য মনে হয় যতক্ষণ ‘বাবা’ নামক সত্বার ছায়া মাথার উপর বিরাজমান থাকে।
তাই বেঁচে থাকলে বাবাদের কদর করুন। চলে গেলে তাঁদের জন্য দু’হাত তুলে দু’আ করুন।
আল্লাহ তা’আলা সকলের মা-বাবাকে সুখে-শান্তিতে রাখুক।
Post a Comment