শিক্ষণীয় গল্প: ওয়েটিংরুম


এক লোক ট্রেন থেকে নামলো, আরেক ট্রেনে উঠবে ২০ মিনিট পর। এর মাঝখানে সে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করার জন্য বসলো। ওয়েটিংরুমে ঢুকেই তার চোখে পড়লো রুমের লাইট টি নষ্ট। তাই সে একটি এনার্জি বাল্ব কিনে লাগালো। তার পর খেয়াল করলো রুমে অনেক মাকড়সার জাল।

তাই সে এক একটি ঝাড়ু কিনে রুমটি পরিষ্কার করলো। তারপর খেয়াল করলো রুমের ফ্লোরে ময়লা। তখন সে রুম ঝাড়ু দিলো। তারপর সে খেয়াল করলো রুমের বসার চেয়ারগুলো বেশি একটা আনন্দদায়ক নয়। তাই সে একটি আরামদায়ক চেয়ার কিনলো। এখন সে রুমটি সাজানোর জন্য কিছু জিনিস কিনে রুমটি সাজালো। এখন সে অনেক ক্লান্ত হয়ে গেল এবং তার আরামদায়ক চেয়ারে বসতে যাচ্ছে এই মুহুর্তে হঠাৎ করেই ট্রেনের হর্ন শুনতে পেল এবং সে ট্রেনে উঠার জন্য রুম থেকে চলে গেল এবং ট্রেনে বসে তার গন্তব্য স্থানে চলে গেল।

আমি জানি আপনারা ভাবছেন এই লোকের চেয়ে বোকা লোক আর পৃথিবীতে নেই।
কিন্তু আপনি কি জানেন এই লোকটি কে ?

এই লোকটি আর কেও নয় আপনি,আমি, সবাই! অবাক হলেও এটাই সত্য। আমরাও দুনিয়াতে এসেছি শুধু কিছু সময়ের জন্য। ১ম ট্রেন আমাদের জন্ম, ২য় ট্রেন আমাদের মৃত্যু এবং আমাদের গন্তব্য জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আর দুনিয়ার জীবন হচ্ছে ওয়েটিংরুম। যেখানে আমরা মাত্র কিছু সময় থাকবো।

অথচ আমরা এই দুনিয়ার জীবনকেই এমনভাবে সাজাচ্ছি যে, আমরা ভুলেই গেছি আমাদের মৃত্যু খুব সন্নিকটে এবং আমাদের এই সাজানো গোছানো দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে মৃত্যু নামক ট্রেনে চড়ে চলে যেতে হবে। আমরা এই ওয়েটিং রুম সাজিয়ে কয় মিনিট ভোগ করতে পারবো?

তাই আমাদের এই ইহকালের জন্য জীবনকে সুখী করতে হারাম কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে ও পরকালের জন্য ইবাদত করতে হবে। যাতে করে আমরা পরকালে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে পারি…।

No comments