ঋণের পরিমাণ যতই কম হোক তার বোঝা অতি ভারী
মক্তব থেকে এসে আমীরুল মুমেনিন খলীফা উমারের ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। উমার (রাঃ) তাকে কাছে টেনে জিজ্ঞাসা করলেন, কি হয়েছে? কাঁদছ কেন বৎস?
ছেলে উত্তর দিল, “সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। বলে, “দেখ না জামার কি অবস্থা চৌদ্দ জায়গায় তালি। বাবা নাকি আবার মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা।”
বলে ছেলেটি তার কান্নার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল। ছেলে কথা শুনে উমার (রাঃ) ভাবলেন কিছুক্ষণ।
তারপর বায়তুল মা’লের কোষাধ্যক্ষকে লিখে পাঠালেন, “আমাকে আগামী মাসের ভাতা থেকে চার দিরহাম ধার দেবেন?” উত্তরে কোষাধ্যক্ষ তাঁকে লিখে জানালেন, “আপনি ধার নিতে পারেন।
কিন্তু কাল যদি আপনি মারা যান তাহলে আপনার অবর্তমানে আপনার ধার শোধ করবে কে?” উমার (রাঃ) ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, “যাও বাবা, যা আছে তা পরেই মক্তবে যাবে। আমাদের তো আর অনেক টাকা পয়সা নেই।
আমি খলীফা সত্য, কিন্তু ধন সম্পদ তো সবই জন সাধারণের।
Post a Comment