রূপো বাঙাল – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রূপো বাঙাল – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি সকালে উঠেই চণ্ডীমণ্ডপে যেতাম হীরু মাস্টারের কাছে পড়তে।

আজ ঘুম ভাঙতে দেরি হওয়ায় মনে হল কাল অনেক রাত্রে বাবা বাড়ি এলেন মরেলডাঙা কাছারি থেকে। আমরা সব ভাইবোন বিছানা থেকে উঠে দেখতে গেলাম বাবা আমাদের জন্যে কী কী আনলেন।

চণ্ডীমণ্ডপের উঠানে পা দিতেই রূপো কাকা আমাদের বকে উঠল—এ্যাঃ, রাজপুত্তুর সব উঠলেন এখন! মারে গালে এক এক চড় যে চাবালিটা এমনি যায়! বলি, করে খাবা কীভাবে? বামুনের ছেলে কি লাঙল চষতি যাবা?

বাবা বাড়ি থাকতেও রূপো কাকা আমাদের চোখ রাঙাবে।

দাদা ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলে—রাতে ঘুম হয়নি রূপো কাকা।

—কেন রে?

–ছারপোকার কামড়ে। বাব্বাঃ, যা ছারপোকা খাটে।

—যা যা তাড়াতাড়ি পড়তে যা।

রূপো কাকা আমাদের আত্মীয় নয়, বাবার বন্ধু নয়, বাড়ির গোমস্তা কী নায়েব নয়, এমনকী রূপো কাকা হিন্দু পর্যন্ত নয়। রূপো কাকা আমাদের কৃষাণ মাত্র। মাসে সাড়ে তিন টাকা মাইনে পায়।

রূপো কাকার আসল নাম রূপো বাঙাল, ও জাতে মুসলমান। আমাদের গাঁয়ের চৌকিদার ও। পিসিমার মুখে শুনেচি রূপো কাকা নাকি সাজিমাটির নৌকাতে চড়ে ওর কুড়ি-বাইশ বছর বয়সের সময় দক্ষিণ দেশ থেকে আমাদের গ্রামের ঘাটে নিরাশ্রয় অবস্থায় এসে নেমেছিল। কেন এসেছিল দেশ থেকে তা শুনিনি। সেই থেকে আমাদের গ্রামেই রয়ে গিয়েছে—বিদেশ থেকে এসেছিল বলে উপাধি ‘বাঙাল’—এ উপাধিরই বা কারণ কী তা বলতে পারব না।

রূপো কাকা আমাদের বাড়ির কৃষাণগিরি করচে আজ বহুদিন। আমাদের ও জন্মাতে দেখেচে। কিন্তু সেটা আশ্চর্য কথা নয়, আশ্চর্যের কথা হচ্ছে এই যে, ও আমার বাবাকে নাকি কোলে করে মানুষ করেছে। অথচ রূপো কাকাকে দেখলে তেমন বুড়ো বলে মনে হয় না।

আমারই ঠাকুরদাদা হরিরাম চক্রবর্তী গাড় হাতে নদীর ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সায়েবের ঘাটে কই মাছ কেনবার জন্যে। রূপো কাকা সাজিমাটির নৌকাতে বসে ছিল। ওর অবস্থা দেখে হরিরাম চক্রবর্তী ওকে গ্রামে আশ্রয় দেন। সে-সব অনেক দিনের কথা। রূপো কাকার বয়স এখন কত জানি না, মোটের উপর বুড়ো। ঠাকুরদাদা যখন মারা যান, বাবার তখন পঁচিশ বছর বয়েস। বাবাকে তিনি নায়েব-পদে বহাল করে গেলেন জমিদারবাবুকে বলে-কয়ে। সেই থেকে বাবা আছেন মরেলডাঙা কাছারিতে। আর বাড়িতে বিষয়সম্পত্তি দেখাশোনা, প্রজা, খাতকপত্র এসব দেখাশোনো করার ভার ওই সাড়ে তিন টাকা মাইনের কৃষাণ রূপো কাকার ওপর।

আমাদের অবস্থা ভালো গ্রামের মধ্যে—এ কথা সবার মুখেতে শুনে এসেচি জ্ঞান হয়ে অবধি। বড়ো বড়ো চার-পাঁচটা ধানের গোলা। এক-একটিতে অনেক ধান ধরে। কলাই মুগ অজস্র। প্রজাপত্র সর্বদা আসচে খাজনা দিতে।

এসব দেখাশোনা করে কে?

রূপো কাকা সব দেখাশোনা করত। আশ্চর্যের কথা, বাবা বিশ্বাস করে এই সামান্য মাইনের মূখ কৃষাণকে এত সব বিষয়-আশয় দেখবার ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন।

বাবাকে সবাই ভীষণ ভয় করে চলতঃ; মুখের ওপর কথা বলতে সাহস করত

কেউ। কিন্তু রূপো কাকা বাবাকে বলত—বলি ও বাবু, তুমি যে এসো বাড়িতি ন-মাস ছ-মাস অন্তর, এতডা বিষয় দেখে কে বলো তো। আদায়-পত্তর ত এ বছর কিছু হলনি! হাতির পাঁচ পা দেখেছো নাকি? এত বড়ো সংসারটা চলবে কীসি?

বাবা দু-মাস অন্তর দু-তিন দিনের জন্য বাড়ি আসেন।

বাবার অনুপস্থিতিতে গোলার চাবি খুলে রূপো কাকা ধান পাড়ত, কলাই মুগ পাড়ত। খাতকদের কর্জ দিত। নিজের দরকার হলে নিজেও নিত।

আমরা সব ছেলেমানুষ, কিছুই বুঝিনে। ঠাকুরমা প্রবীণা বটে, কিন্তু ভালোমানুষ। বিষয়-আশয়ের কিছুই বুঝতেন না। আমাদের আছে সব, কিন্তু দেখে নেবার লোক নেই।

সে-অবস্থায় সব কিছুর ভার ছিল রূপো কাকার ওপর।

বাবা বাড়ি এসে পরদিন চণ্ডীমণ্ডপে বসতেন মহাজনি খাতা খুলে।

বলতেন—কে, কী নিয়েচে রূপো?

রূপো কাকা বলত—লিখে রাখো, সনাতন ঘোষ ছ-কাঠা কলাই, দু-কাঠা বীজ মুগ, কড়ি ছ-কাঠা—

—আচ্ছা।

—হয়েছে?

–হয়েছে।

–আচ্ছা লেখো—বীরু মণ্ডল দু-বিশ ধান, কড়ি পাঁচ সলি—

–আচ্ছা।

—হয়েছে?

—হয়েছে।

—রূপো বাঙাল একবিশ ধান, দু-কাঠা কলাই—

—আচ্ছা।

—হয়েছে?

–হয়েছে।

—লেখো, কাটু কলু চার কাঠা কলাই, কড়ি চার কাঠা। ময়জদ্দি সেখ, ধান এগারো কাঠা, কড়ি সাত কাঠা।

এইভাবে রূপো কাকা অনর্গল বলে চলেচে গত দু-মাসের মধ্যে কর্জ দিয়েছে যাকে যতটা জিনিস। ওর সব মুখস্থ কোনো কিছু ভোলে না। ওরই হাতে গোলার চাবির থোলো। যাকে যা দরকার দিয়ে সব মনে করে রেখে দিয়েছে, বাবার খাতায় লেখাবার জন্যে।

একদিন একটা ঘটনা ঘটল।

রূপো কাকার জ্বর হয়েছিল, আমাদের বাড়িতে আসেনি দু-তিন দিন।

এমন সময় বাবা বাড়ি এলেন মরেলডাঙা থেকে। এসেই বিকেলে রূপোকে ডেকে পাঠালেন। রূপো জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে বললে—বলো গে যাও, আমি জ্বরে উঠতি পারচিনে। এখন যেতি পারব না—জ্বরে মরচি। তা সীতানাথ আর আসতে পারলে না পায়ে পায়ে? তার একটু এলে কি মান যেত?

বাবা বাবু মানুষ। নতুন বাবু, রূপো-বাঁধানো-ছড়ি হাতে নিয়ে বেড়ান, কোঁচা হাতে নিয়ে। ঘড়ির চেন ঝোলে বুকে, হাতে থাকে ঝকমকে আংটি। প্রজাপত্তরের কাছে খুব খাতির। বাবাকে যখন লোকে ফিরে এসে এ কথা বললে, তখন বাবা একেবারে তেলেবেগুনে উঠলেন জ্বলে। তখন কিছু না-বলে গুম হয়ে রইলেন।

এর দিন পাঁচ-ছয় পরে রূপো কাকা সেরে উঠে আমাদের বাড়ি এল। বাবা তখন চণ্ডীমণ্ডপে বসে হিসেবের খাতাপত্র দেখছিলেন। ওকে দেখেই কড়া সুরে বলে উঠলেন—রূপো!

—কী?

—তুমি মনে মনে কি ভেবেচ জিজ্ঞেস করি? তোমার এতবড়ো আস্পর্ধা, তুমি বলো আমি পায়ে পায়ে তোমার বাড়ি যাব? তুমি জানো, কার সামনে তুমি দাঁড়িয়ে আছ? তোমার মুণ্ডুটা যদি কেটে ফেলি তা হলে খোঁজ হয় না, তুমি জানো? এত বড়োলোক তুমি হলে কবে?

রূপো কাকাও সমানে গলা চড়িয়ে উত্তর দিলে—তা তুমি মাথা কাটবে না? এখন কাটবে না? এখন কাটবে বই কী! হ্যাঁরে সীতেনাথ, তোকে যে কোলে করে মানুষ করেছিলাম একদিন, মনে পড়ে? এখন তুমি বড়ো হয়েচ, বাবু হয়েচ, সীতেবাবু—এখন তুমি আমার মুণ্ডু কাটবা না? বড্ড গুণবন্ত হয়েচিস তুই, হ্যাঁ সীতেনাথ—

‘তুমি’ ছেড়ে রূপো কাকা, সামান্য সাড়ে তিন টাকা মাইনের কর্মচারী হয়ে মনিবকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন আরম্ভ করলে সকলের সামনে।

বাবা বললেন—যা যা, বকিসনে—

—না বকব না—তুই বড্ড তালেবর হয়েচিস আজকাল, বড্ড বাবু হয়েচিস— তুই আমার মুণ্ডু নিবি না তো কে নেবে?

বলেই রূপো কাকা হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললে।

আমার ঠাকুরমা ছিলেন বাড়ির মধ্যে। রূপোর কান্না শুনে তিনি বাইরে ছুটে এসে বাবাকে যথেষ্ট বকলেন।

বাবা বললেন—তা বলে আমায় ওরকম বলে কেন?

ঠাকুরমা বললেন—তুই কাকে কী বলিস সীতে, তোর একটা কাণ্ডজ্ঞান নেই? তুই কি পেলি?

বাবা কলম ছেড়ে বাড়ির মধ্যে উঠে এলেন, তারপর রূপো কাকার হাত ধরে বললেন—রূপোদা, তুই কিছু মনে করিসনে। আমার বলা ভুল হয়ে গিয়েচে, বড্ড ভুল হয়েছে।

রূপো কাকার রাগ কমে না, বললে—না, আমার দরকার নেই কাজে। ঢের হয়েছে। নে, তোর গোলার চাবিছড়া রেখে দে—মুই আর ওসব ঝামেলা পোয়াতে পারব না। নে তোর চাবিছড়া।

কতবার বোঝানো হল, রূপো কাকা কিছুতেই শুনবে না। চাবির থোলো সে খুলে বাবার সামনে ছুড়ে ফেলে দিলে।

শেষে বাবা বললেন—বেশ, তা হলে আমিই বাড়ি ছেড়ে যাই। রইল গোলাপালা, প্রজাপত্তর। আমি কাল সকালের গাড়ি তেই বেরুচ্চি—

রূপো কাকা ঝাঁঝের সঙ্গেই বললে—তুই চলে যাবি তা তোর কাচ্চাবাচ্চা মানুষ করবে কেডা?

—কেন, তুমি?

—মোর দায় পড়েছে। তোরে কোলেপিঠে করে মানুষ করলাম বলে কী তোর ছেলে-পিলেও কোলেপিঠে করে মানুষ করব? আমি কি আর জোয়ান আছি? এখন বুড়ো হইচি না? ওসব ঝামেলা আমার দ্বারা আর হবে না—

-না, আমি আর থাকব না। কালই যাব চলে।

—কোথায় যাবি?

—মরেলডাঙা চলে যাব। ঠিক বলচি যাব। আমার বড় কষ্ট হয়েচে রূপোদা, তুমি আমায় এমন করে বললে শেষকালে। আমি গৃহত্যাগী হব, হব হব—বলেই বাবা ফেললেন কেঁদে।

রূপো কাকা অমনি উঠে এসে বাবার হাত ধরে বললে—কাঁদিসনে সীতেনাথ, কাঁদিসনে, ছিঃ—মুই আর তোরে কী বললাম? তুই-ই তো কত কথা শুনিয়ে দিলি—কাঁদিসনে—

শেষে দুজনেরই কান্না।

আমরা ছেলেমানুষ, অবাক হয়ে চেয়ে দেখতে লাগলুম দুই বড়ো লোকের কান্না। দাদা আমায় কনুইয়ের গুঁতো মেরে মুখে হাত চেপে হি হি করে হেসে উঠল। আমরা অবিশ্যি দূরে গোলার নিমতোলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম।

ব্যাপারটা শেষপর্যন্ত অবিশ্যি মিটমাট হয়ে গেল। বাবাও দেশত্যাগী হলেন না, রূপো কাকাও চাকরি ছাড়লেন না।

রূপো কাকা রাত্রে চৌকিদারি করত। অনেক রাত্রে আমাদের বাড়ি এসে ঠাকুরমাকে জাগিয়ে দিয়ে বলত—ওঠো বউমা, জাগন থাকো। রাত খারাপ। চণ্ডীমণ্ডপে সন্নিসি ঘোষ ও হীরু মাস্টার শুয়ে থাকত, তাদের জাগিয়ে দিয়ে বলত—একেবার অত নাক ডাকিয়ে ঘুমোও কেন? ওঠো, মাঝে মাঝে তামুক খাও আর গোলাগুলোর চারিধারে বেড়িয়ে এসো না—

একটা অদ্ভুত দৃশ্য কতদিন হীরু মাস্টার দেখেছে।

আমাদের গল্প করেচে সকালবেলা।

সব গ্রাম ঘুরে এসে অনেক রাত্রে চৌকিদারি পোশাক পরে লাঠি হাতে রূপো কাকা অন্ধকারে আমাদের চণ্ডীমণ্ডপের পৈঠার ওপর বসে থাকত।

এক-একদিন হীরু মাস্টার বাইরে এসে ওকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করত— কে বসে?

–মুই রূপো।

—বসে কেন? এত রাতে?

—তোমরা তো দিব্যি ঘুমোচ্চ, তোমাদের আর কী? গোলার ধান যাবে সীতেনাথের যাবে। চোরের যা উপদ্রব হয়েছে তার খবর কী জানবা? মোর ওপর ঝুঁকি কত! মোর তো তোমাদের মতো ঘুমুলি চলবে না। সীতেনাথের এ ঝামেলা আর কদ্দিন পোয়াব? এবার এলি চাবিছড়া তার হাতে দিয়ে মুই খোলসা হব। এ আর পারি না বুড়ো বয়সে রাত জাগতি—

হীরু মাস্টার বলে—ঘুমোও গো যাও—

—কিন্তু মুই যে তোমাদের মতো নিশ্চিন্দি হতে পারিনে তার কি হবে। ধানগুলোর ঝক্কি যে মোর ঘাড়ে ফেলে সে বাবু দিব্যি চাঙা হয়ে বসে আছেন! এবার আসুক, কিছুতেই আর এ বোঝা ঘাড়ে রাখচিনে মুই।

কিন্তু নিজের ইচ্ছেতে তার ছাড়তে হয়নি। বৃদ্ধ বয়সে তিনদিনের জ্বরে রূপো কাকা আমাদের গোলার দায়িত্ব নামিয়ে চলে গেল। এও সাত-আট বছর পরের কথা। আমরা তখন স্কুলে পড়ি। সবসুদ্ধ ত্রিশ-বত্রিশ বছর ও ছিল আমাদের বাড়ি।

বাবার সঙ্গে আমরাও দেখতে গেলাম রূপো কাকাকে।

রূপো কাকার ছোটো চালাঘর। একদিকে ডোবা, একদিকে বাঁশঝাড়। ছেড়া মলিন কাঁথা মুড়ি দিয়ে শীর্ণ, সাদা দাড়ি রূপো কাকা পুরোনো মাদুরে শুয়ে। রূপো কাকার ছেলের নাম বেজা, লোকে বলে বেজা বাঙাল। বেজা আমাদের দেখে বললে—আসুন বাবুরা, দেখুন দিকি বাবারে? জ্ঞান নেই, ভুল বকছে—

বাবা ওর মুখের ওপর ঝুঁকে পড়ে বললেন—ও রূপোদা? কেমন আছ, ও রূপোদা—

রূপো কাকা চোখ মেলে বললে—কেডা? সীতেনাথ? কবে এলে?

—এই পরশু এসেছি।

—বেশ করেচ। এই শোনো, খাতার মুড়োয় লিখে রাখো, মুই চিঁড়ে খাবার বেনামুরি ধান নিইচি চার কাঠা, আহাদ মণ্ডল কলাই দু-কাঠা, বাড়ি দু-কাঠা, বিষ্ণু ধেরিসি ছ-কাঠা ধান, বাড়ি চার কাঠামোর ধান পোষ মাসের ইদিকে দিতি পারব না বলে দিচ্চিভুলে যাব, লিখে রাখো–

এই রূপো কাকার দায়িত্বের শেষ। আর কোনো কথা বলেনি রূপো কাকা। সেদিন সন্ধেবেলা রূপো কাকা আমাদের গোলা-পালার দায়িত্ব চিরদিনের মতো ঝেড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল।

বিশ্বস্ত লোকেদের জন্যে কী কোনো স্বর্গ আছে?

যদি থাকে, আমাদের বাল্যের রূপো কাকার আসন অক্ষয় হয়ে আছে সেখানে।

আজ ত্রিশ বছর আগেকার কথা এসব। এইসব চোরাবাজারের দিনে, জুয়েচুরির দিনে, মিথ্যে কথার দিনে বড্ড বেশি করে রূপো কাকার কথা মনে পড়ে।

No comments