শিক্ষামূলক গল্প: কুড়ালের ধার
একদা রাজা বনে কাঠ কাটার জন্য কয়েকজন কাঠুরে নিয়োগ দিতে চাইলেন।
সবার মধ্যে একজন কাঠুরে খুব দ্রুততম সময়ে অন্যদের তুলনায় বেশি কাঠ কেটে দেখালো,
তাতে রাজা অনেক খুশি হয়ে তাকে প্রধান কাঠুরে হিসেবে নিয়োগ করলেন এবং পুরষ্কৃত করলেন। সে এতে আরোবেশি অনুপ্রাণিত হয়ে আরো বেশি পরিশ্রম করে কাজ করতে লাগলো। সে প্রথম মাসে ১৮টি গাছ কাটলো রাজা খুবই খুশি হলেন।
সে দ্বিত্বীয় মাসে কাটলো ১৫টি এবং তৃত্বীয় মাসে কাটলো ১২টি গাছ। রাজা যখন ৩ মাস পর ঘুরতে এসে তার এই নিন্মমুখী ফলাফল দেখতে পেলেন তখন তিনি কিছুটা অবাক হলেন। যেহেতু কাঠুরের সক্ষমতা, পরিশ্রম এবং সততা নিয়ে রাজার কোন সন্দেহ ছিলনা।
তাই তিনি কাঠুরের কাছে এর কারন জানতে চাইলেন। কাঠুরে বললো, “মহামান্য রাজা, আমি আমার সাধ্যের কোন ত্রুটি করছিনা, তবুও কাজ কম হচ্ছে। হয়তো আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি।” রাজা বললেন আচ্ছা তোমার কুড়ালটি নিয়ে এসো।
রাজা কুড়ালটি দেখলেন এবং কাঠুরেকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ “এই মাসে শেষ কবে কুড়ালটি তে ধার দিয়েছিলে বলো তো” কাঠুরে যে জবাব দিলো তাতে রাজা অবাক হয়ে গেলো।
কাঠুরে বললো সে “হুজুর প্রতিদিন বেশি থেকে বেশি কাঠ কাটার জন্য গত তিন মাসে কুড়াল ধার দেয়ার পিছনে সময় দিতে পারিনি”
এখন রাজা এবং কাঠুরে দুই জনই গাছ কাটার পরিমাণ কমে যাওয়ার কারন বুঝতে পারলো।
শিক্ষা:
জীবনে কাজের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রামও জরুরী এতে নতুন উদ্যমে কাজ করা যায় এবং কর্মদক্ষতা বাড়ে।
Post a Comment