ভূতের বেগার – আহমেদ রিয়াজ

ভূতের বেগার – আহমেদ রিয়াজ

মাত্র দুদিন, মাত্র দুদিনেই খবরটা এ পাহাড় থেকে ও পাহাড় হয়ে কার্বারির কান অব্দি পৌঁছে গেল। পাহাড়ি গ্রামপ্রধানকে চাকমারা বলে কার্বারি। আর খবরটা কানে ঢোকামাত্রই জুনান চাকমাকে ডেকে পাঠালেন কার্বারি।

কার্বারিকে এড়িয়ে চলে জুনানরা। তবে যেহেতু তলব করেছে, না গিয়ে উপায় নেই।

কার্বারির সামনে গিয়ে হাজির হলো জুনান।

কার্বারি ভেবেছিলেন লিকলিকে শরীরের জুনানকে দেখবেন। কিন্তু কী দেখছেন! অবাক চোখে জুনানের দিকে তাকালেন। জুনানের পা থেকে মাথা অব্দি কয়েকবার মাপলেন। শরীরটা কী নধর! শরীর বেয়ে যেন তেল উপচে পড়ছে। ভরাট গাল। কী করে হলো! নাদুসনুদুস জুনানকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন কার্বারি। দাঁতে দাঁত পিষে জানতে চাইলেন, খবরটা কি সত্যি?

কপাল কুঁচকাল জুনান। জুমচাষ থেকে ওদের কয়েক বছর হলো বঞ্চিত করেছেন কার্বারি। তবু কার্বারি বলে কথা! মুখে হাসি ফুটিয়ে জুনান বলল, কোন কথা?

এই যে লোকে যা বলাবলি করছে!

সেটা তো আপনি ভালো জানেন। কারণ, কাজটা তো আপনিই করেছেন। আমাদের জমিজমা সব কেড়ে নিয়েছেন। এমনকি ভিটেবাড়িটা পর্যন্ত জবরদখল করেছেন।

কার্বারির মুখে কালো মেঘ জমল হুটহাট। আজ অব্দি তার মুখের ওপর কেউ এমন করে বলতে পারেনি। পরিবারের সবার ছোট ওই ছোকরা। সবার ছোট হয়েও এত সাহস পেল কোত্থেকে?

ধমক দিয়ে উঠলেন কার্বারি, ‘চুপ কর ব্যাটা!’

খ্যাঁকখ্যাঁক করে হেসে উঠল জুনান। সব কটি দাঁত বের করে বলল, ‘বা রে! লোকে কী কথা বলাবলি করে, সেটা তো আপনিই জানতে চাইলেন।’

কপাল কুঁচকে কার্বারি বললেন, ‘লোকে কি এখনো এসব কথা বলাবলি করে?’

‘ঘটনা ঘটলে লোকে বলাবলি করবে না? লোকে কি মিথ্যে কথা বলে?’

‘লোকে তো আরও অনেক কিছু বলাবলি করে।’

‘হ্যাঁ। আপনার লোভ নিয়েও লোকে বলাবলি করে।’

মুখ কুঁচকে বললেন কার্বারি, ‘যত সব ফালতু কথা!’

‘লোকের ফালতু কথা শোনার জন্যই কি আমায় ডেকেছেন?’

জুনানের কথার জবাব দিলেন না কার্বারি। ছোকরাটার সঙ্গে বেশি কথা না বলাই ভালো। এবার আসল কথা পাড়লেন, ‘লোকে তোদের সম্পর্কেও তো বলাবলি করে রে জুনান। তুই তো ছোট। এখনো কাজ করার বয়স হয়নি। ওদিকে তোর ভাইয়েরাও কিছু করে না। বিশাল পরিবার তোদের। তবু দেখছি না খেয়ে থাকিস না। খাবার পাস কোথায়?’

চুপ করে রইল জুনান। ফোঁস ফোঁস করে উঠলেন কার্বারি, ‘তোদের নাকি কারা খাওয়ায়?’

অবাক হওয়ার ভান করল জুনান। বলল, ‘কারা আবার খাওয়াবে? আপনার ভয়ে তো কেউ আমার ভাইদের জুমের কাজেও নেয় না।’

‘আমার কাছে আসল কথা লুকোচ্ছিস জুনান। আমি কিন্তু সব জানি। স-ব!’

আবারও হাসল জুনান। হাসতে হাসতে বলল, ‘সবই তো জানেন। আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন?

‘তার মানে সত্যি। কে খাওয়ায় তোদের?’

‘সেটাও তো জানেন। জেনেও…’

‘তোর মুখ থেকেই শুনতে চাইছি। তোদের খাওয়ায় কে?’

কার্বারির ধমকে ঘাবড়ে গেল ছোট্ট জুনান। বলেই ফেলল, ‘ভূতে খাওয়ায়।’

‘বলিস কী! ভূতেরা ভয় দেখানো বাদ দিয়ে তোদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিল কবে থেকে?’ বলেই খ্যাঁকখ্যাঁক হাসি দিলেন কার্বারি।

যাতে কেউ শুনতে না পায়, এমনভাবে ফিসফিস করে জুনান বলল, ‘খাবারের অভাবে আমরা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর একদিন…’

এতক্ষণে টনক নড়ল জুনানের। বলতে গিয়েও থেমে গেল হঠাৎ। কথাটা বাইরে বলতে নিষেধ করে দিয়েছে বাড়ির লোকেরা।

কার্বারি বললেন, ‘তোর নধর শরীর দেখে বোঝা যাচ্ছে, ভালোই খাওয়াদাওয়া করিস। গতরে বেশ চর্বিও জমিয়েছিস।’

জুনানও টিপ্পনী কাটল, ‘কোনো কাজকর্ম নেই। সারা দিন কেবল পায়ের ওপর পা তুলে খেলে তো এমন হবেই। তা ছাড়া ভূতের খাওয়া বলে কথা। ওরা খারাপ খাওয়াতে পারে না। খাঁটি খাবার খাওয়ায়। কোনো ভেজাল নেই।’

‘হুমম। ওই মটকা আমার চাই।’

অবাক হলো জুনান। ওদের মটকার খবরও দেখি কার্বারির অজানা নয়! কোনো কথাই গোপন থাকে না। অথচ না খেয়ে থাকা অনেক মানুষকেও প্রতিদিন খাওয়ায় জুনানরা। তাদের মধ্যে কেউ কি কার্বারিকে খবরটা দিয়েছে? ভাবতে লাগল জুনান। কে হতে পারে?

হঠাৎ গর্জে উঠলেন কার্বারি, ‘মটকাটা কোথায়?’

অবাক হওয়ার ভান করল জুনান, ‘মটকা!’

‘আমি কিন্তু সবই জানি।’

‘তাহলে তো মটকা কোথায় আছে, সেটাও জানেন।’

‘তোর মুখ থেকেই শুনতে চাইছি। কোথায় রেখেছিস মটকা?’

‘বলব না।’

‘তোকে বলতেই হবে জুনান। নইলে আমি কী করতে পারি ভালোমতোই জানিস!’

যখন–তখন যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারেন কার্বারি। ভীষণ ভয় পেল জুনান। হাত জোড় করে আকুতি জানাল, ‘আপনি তো আমাদের সবই নিয়েছেন। জমি-জিরোত। এমনকি ভিটেটাও। আছে কেবল একটা মটকা। ওটা আমরা দেব না।’

হিসহিস করে উঠলেন কার্বারি, ‘দেব না মানে? আমি হলাম তোদের কার্বারি। তোদের ভালোমন্দ দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। যা, তোর বড় ভাইদের গিয়ে বল, আমার কাছে যেন মটকা পৌঁছে দেয়!’

হঠাৎ তেজি হয়ে উঠল জুনান, ‘দেব না। কখনোই না।’

বলেই আর দেরি করল না জুনান। কার্বারির কাছারি থেকে ছুটে বেরিয়ে এল। খবরটা ভাইদের জানাতে হবে। কার্বারির লোভ থেকে মটকা রক্ষা করতে হবে।

জুনানরা থাকে পাহাড়ের ঢালে। ছোট্ট একটা ঘর ওদের। ভাগ্যিস পাহাড়টা সরকারি খাসজমির অংশ। সে কারণে ওদের ওখান থেকে এখনো উচ্ছেদ করতে পারেননি কার্বারি।

ওই পাহাড়ের ঢালে ঘর বানাতে গিয়ে মাটি খুঁড়ছিল জুনানরা। আর মাটি খুঁড়তে গিয়েই একটা মটকা পায় ওরা। খুব সাধারণ একটা মটকা। গুপ্তধন আছে মনে করে মটকার ভেতর হাত ঢুকিয়েছিল ও। আর তারপরই অবাক ব্যাপারটা ঘটল। ওর হাতে উঠে এল মজাদার সব খাবার। ভীষণ উপাদেয়।

তারপর যখনই খিদে পায়, মটকার ভেতর হাত দেয় আর নানান উপাদেয় খাবার উঠে আসে হাতে। এত দিন সেই উপাদেয় খাবার খেয়েই বেঁচে আছে জুনানের পুরো পরিবার। জুনানের বৃদ্ধ মা, দুটো বোন, তিনটে ভাই। খাবারের তো অভাব নেই। আশপাশের কিছু না খেয়ে থাকা মানুষকেও নিয়মিত খাওয়ায়।

খবরটা শুনেই জুনানের ভাইয়েরা ঠিক করল, মটকাটা লুকিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু কোথায় লুকাবে? লুকাতে গেলেই ধরা পড়ে যাবে। পুরো এলাকা কার্বারির নখদর্পণে।

মটকার দুশ্চিন্তায় সে রাতে জুনানের ভাইয়েরা ভীষণ অস্থির হয়ে রইল। ভরপেট খেয়ে শুয়ে ছিল ওরা। তবু ঘুম আসছিল না কারোরই। জুনানও দুচোখের পাতা এক করতে পারছিল না। একটু খুট করে শব্দ হলেই আঁতকে উঠছিল ভয়ে। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি দলবল নিয়ে এসে হানা দিলেন কার্বারি।

বিছানায় কিছুক্ষণ এপাশ–ওপাশ করল জুনান। তবে একসময় ঠিকই দুচোখের পাতা ভারী হয়ে এল। তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়ল, টেরই পেল না।

সে রাতেই জুনানদের বাড়ির কাছে এসে ওত পেতে রইলেন কার্বারি। সবার ঘুমিয়ে পড়ার অপেক্ষা করছেন।

একসময় কার্বারি ছিলেন পাকা সিঁধেল চোর। এলাকার এমন কোনো ঘর নেই, যে ঘরে তিনি চুরিবিদ্যা ফলাননি। কেবল জুনানদের ঘর ছাড়া। তখন চুরি করার মতো কিছুই যে ছিল না জুনানদের ঘরে। তাই বলে জুনানদের এমনি এমনি ছেড়ে দেননি। ঘরছাড়া করেছেন ওদের।

আবার ঘর বেঁধেছে জুনানরা। ওদের ঘরে এখন রয়েছে অমূল্য সম্পদ ভুতুড়ে মটকা। ওই মটকা তার চাই-ই চাই।

জুনানদের ঘরের সবাই তখন গভীর ঘুমে। ঘোঁত ঘোঁত করে নাকডাকার বিচিত্র শব্দ ভেসে আসছে। কেবল জুনানের বুড়ি মা একটু পরপর বিড়বিড় করছেন। কান পাতলেন কার্বারি। বুড়ি বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে। কী বলছে বুঝতে পারলেন না। আবারও কান পেতে নিশ্চিত হলেন, ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করছে বুড়ি।

এই তো সুযোগ!

টুঁ শব্দটি ছাড়া জুনানদের ঘরে ঢুকে পড়লেন কার্বারি।

একটা ঘরেই হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে সবাই। শণের ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে চাঁদের সামান্য আলো এসে উঁকিঝুঁকি মারছে ঘরের ভেতর। ওই আলোতেই ঘরের ভেতর চোখ বোলালেন। আর চোখ বোলাতে বোলাতেই হঠাৎ ধড়াস করে উঠল কার্বারির বুক।

ওই তো মটকা! ঘরের এক কোনায় বিশাল জায়গা দখল করে আছে। অন্ধকারে বিশাল মটকার অবয়বটা চোখে পড়ল কার্বারির। সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে গেলেন মটকার কাছে। তারপর দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। আর ধরেই বুঝতে পারলেন, ভীষণ ভারী মটকাটা।

কার্বারির শরীরও কম নয়। দশাসই শরীর তার। পেশিবহুল দুটো হাত। হাতের থাবা দুটোয় অসম্ভব শক্তি। দুই হাত দিয়ে মটকা নাড়ানোর চেষ্টা করলেন। হ্যাঁ। নড়ছে! মটকা নড়ছে! যেহেতু নড়ছে, কাজেই এটা তিনি একাই বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এর চেয়ে কত ভারী জিনিস নিয়ে রাতবিরাতে একের পর এক পাহাড় টপকেছেন! কিন্তু…

হঠাৎ মনে মনে একটা ধাক্কা খেলেন কার্বারি। মটকার গল্পটা সত্যি তো! নাকি গ্রামের লোকেরা বাড়িয়ে বলছে? কিন্তু জুনান তো স্বীকার করেছে, মটকা থেকে ভূতেরা খাবার সরবরাহ করে। সেই খাবারই খায় ওরা। আর যা–ই হোক, জুনান কখনো মিথ্যা কথা বলে না। এ জন্যই জুনানকে ডেকে আসল খবর জেনে নিয়েছেন। তবু মনের খচখচানি যে যাচ্ছে না!

ঘুমন্ত মানুষগুলোর ওপর আবারও চোখ বোলালেন কার্বারি। নাহ! সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। ভোররাতের ঘুম এমনই। নিশ্চিন্ত হলেন, এখন আর কারও জাগার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মটকার গল্পটা সত্যি তো!

সত্যি না হলে এত ভারী আর বিশাল মটকা বয়ে নিয়ে যাওয়াটাই বৃথা। সন্দেহটা কার্বারির মনে খোঁচাখুঁচি করেই চলেছে।

হঠাৎ কার্বারির মনে হলো, মটকা যখন তার হাতের মুঠোয়, তখন পরীক্ষা করেই দেখা যাক!

একটা বাঁশের ডালা দিয়ে মটকার মুখ ঢাকা। ডালাটা সরিয়ে পাশে রাখলেন কার্বারি। তারপর হাত ঢোকালেন মটকার ভেতর।

আর অমনি…

খাবার নয়, মটকার ভেতর থেকে বেরিয়ে এল অনেকগুলো হাত। চোখের পলকে একটা হাত চেপে ধরল কার্বারির চুল। দুটো হাত ঠেসে ধরল কার্বারির চওড়া ঘাড়। আরও দুটো ভুতুড়ে হাতের মুঠো টেনে ধরল কার্বারির কান দুটো। সাপের মতো লিকলিকে একটা হাত ঢুকে পড়ল কার্বারির মুখের ভেতর। মুখের ভেতর ঢুকেই তার দাঁতের নিচের পাটি ধরে টানাটানি করতে লাগল ভুতুড়ে হাতটা। আর তাতেই কার্বারির মাথা ঢুকে পড়ল মটকার ভেতর।

ভাগ্যিস চোখ দুটো কেউ চেপে ধরেনি। কিন্তু এ কী!

মটকার ভেতরটা তো অন্ধকার হওয়ার কথা। কোথায় অন্ধকার? মটকার তলায় একটা দরজা দেখতে পেলেন।

দরজাটা খোলা। দরজার ওপাশে ভরা পূর্ণিমার মতো ফ্যাকাশে আলো। সেই আলোয় কার্বারি দেখলেন, কারা যেন হেঁটে বেড়াচ্ছে। ওরা কারা!

ভয় পেলেন কার্বারি। জীবনে সিঁধেল চুরি কম করেননি। কিন্তু এতটা ভয় পাননি কখনোই।

ভয়ে, আতঙ্কে তার শিরদাঁড়া ঘামতে শুরু করল। তারপর সে ঘাম কোমর নয়, কার্বারির ঘাড় বেয়ে মাথার তালুতে এসে জমতে শুরু করেছে। কারণ, কার্বারি তখনো মটকার ভেতর উপুড় হয়ে রয়েছেন। অনেকগুলো লিকলিকে হাত তাকে মটকার ভেতর টেনে ঢোকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে অনবরত। কিন্তু কার্বারি কিছুতেই ঢুকতে চাইছেন না।

অনেক চেষ্টা করে কিছুক্ষণ ঠেকিয়ে রেখেছেন কার্বারি। কিন্তু একসময় হার মানতেই হলো। হঠাৎ একটা হ্যাঁচকা টানে কার্বারিকে মটকার ভেতর ঢুকিয়ে ফেলল ভুতুড়ে হাতগুলো।

আর মটকার ভেতর ঢুকতেই, আরও অবাক হলেন কার্বারি! কোথায় এলেন তিনি?

বিশাল বিশাল মাঠ। ফসলি মাঠ। যত দূর চোখ যায়, কেবল ফসল আর ফসল। কাঁচা ফসল। আধা কাঁচা ফসল। পাকা ফসল। ফসলি মাঠগুলোয় কাজের ধুম পড়েছে। কিন্তু কারা কাজ করছে! ভূত!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভূতদের কাজ দেখতে লাগলেন কার্বারি। হঠাৎ…

অনেকগুলো ভুতুড়ে হাতের চাপড় পড়ল কার্বারির পিঠে। আর সঙ্গে সঙ্গে একটা খ্যানখ্যানে আওয়াজ, ‘ভূতের দেশে এসেছিস, ভূতের বেগার খাটবি না? অনেকগুলো মানুষের খাবার জোটাতে হবে তো। যা! জমিতে গিয়ে চাষবাস শুরু করে দে!’

কথা শেষ হতে না হতেই কয়েকটা ভুতুড়ে হাতের ধাক্কা পড়ল কার্বারির পিঠে। আর সেই ধাক্কায়…

ভূতের দেশে ফসলের মাঠে ভূতের বেগার খাটতে শুরু করলেন কার্বারি।

No comments