নব্য উপকথা – শিবরাম চক্রবর্তী
‘আমি একবার এক বর্মি মেয়ের পাল্লায় পড়েছিলাম—প্রেমঘটিত ব্যাপার, বুঝতেই পারছ!—মেয়েটিই প্রেমে পড়েছিল আমার। কিছুদিন আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি।…এত টাকা ছিল মেয়েটার যে কী বলব!’ বলল নিবারণ—‘এমনকী, তাকে লক্ষপতিও বলা যায়?’
বলে আরামচেয়ারটায় আরও আরাম করে বসল সে।
‘লক্ষপত্নী বলো।’ ভুলটা আমরা শুধরে দিতে চাই।
‘না, তা আমি বলব না। কিছুতেই না। মেয়েটির একটিমাত্র লক্ষ্য ছিল, সেআমি। তবে এতদ্বারা ব্যাকরণের সীমা লঙ্ঘন হচ্ছে যদি মনে কর তাহলে আমি তাকে লক্ষপতির মেয়ে বলতে রাজি আছি। কিন্তু তা বলবার একটা অসুবিধা এই যে, মেয়েটির বাবা ছিল না। ছিল নিশ্চয়ই, তবে আমি যখন গেছলাম তখন ছিল না।’
‘কেন, লক্ষপত্নী বলতে তোমার বাধচে কোথায়?’ আমরা শুধোই—‘তুমি একাই যখন একলক্ষ, ভেবে দেখলে। তা, সেকথা যাক, সেই বর্মি মেয়েটার সঙ্গে কোথায় তোমার মুলাকাত হল শুনি?’
‘কেন, বর্মায়? আবার কোথায়? বর্মি মেয়েদের আড্ডা যেখানে। রেঙ্গুনেই তো! যে-বার প্রথম আমি রেঙ্গুনে গেলাম। অবশ্যি, এই যুদ্ধের আগে।’ জানাল নিবারণ—‘মাস খানেক আমার স্রেফ রাজার হালে কেটেছিল।’
মেয়েটি জাহাজঘাটায় এসে দাঁড়িয়েছিল বুঝি? তুমি নেমে মাটিতে পা দেবামাত্র তোমাকে লুফে নিয়ে চলে গেল, তাই না?’
‘না, তা নয়।’ বলল নিবারণ—‘তখন তো সেআমাকে চিনত না, নামই জানত না আমার, তবে—’ নিবারণ আরও বিশদ করে—‘এ ছাড়া আর যা বলছ, তা প্রায় ঠিক। আমি সব্বার শেষে জাহাজ থেকে নামলাম। মেয়েটি তখন ডকে দাঁড়িয়ে। তখনও দাঁড়িয়ে—সবাই নেমে চলে গেছে—তখনও।’
‘তোমার জন্যেই দাঁড়িয়ে, তা কি আর তুমি বুঝতে পারনি? কেন, আমরা তো বেশ বুঝতে পারছি—এইখেনে বসেই। তোমার বোধশক্তি এত কম, ভাবলে অবাক হতে হয়।’
‘অবাক হবার কথাই। আমিও কম অবাক হইনি। মেয়েটি আমার জন্যেই দাঁড়িয়েছিল, সেকথা সত্যি।’
‘তার রোলস রয়েস সমেত, তাই না? আর তোমাকে দেখেই বলে উঠল, এসো, ওঠো গাড়িতে, বাড়ি চলো লক্ষ্মীটি।…তাই না?’ আমরা বললাম।
‘না, তা বলল না।’ জবাব দিল নিবারণ—‘বাড়ি যাবার কথাই বলল না। বলল যে তুমি একজন বাঙালি। বাঙালিকে আমরা খুব পছন্দ করি। আর এটা হচ্ছে বর্মা মুল্লুক। বাঙালিরা এখানে বর্মি মেয়ে বিয়ে করতেই আসে, একথা আমাদের অজানা নয়। আর এসেই কাউকে না কাউকে বিয়ে করে ফ্যালে। তুমি এসো আমার সঙ্গে। যদি নিতান্তই বিয়ে করতে হয়—আচ্ছা, সেকথা পরে হবে। এসো এখন, এক কাপ চা খাওয়া যাক।’
‘না চাইতেই চা! আহা!’ বলতে কী, আমার জিভেও জল এসে গেল (তবে সেই বর্মি মেয়েটির জন্য নয়)—‘তুমি কী বললে?’
‘আমি? আমি একবার মেয়েটির আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করলাম।’ নিবারণ প্রকাশ করল।
‘মানে, তার চা-পানের নিমন্ত্রণ গ্রাহ্য করা যায় কি না বিবেচনা করে দেখলে?’
‘খুব উঁচু দরের মেয়ে, দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু এইটুকু একটুখানি মুখ কী করে যে এত সুন্দর হতে পারে, তা স্বচক্ষে দেখলেও বোঝা যায় না। না দেখলে তো নয়ই। সে-রূপ আর সেই মাধুরী—তোমাদের কাছে তার এক বর্ণও আমি বর্ণনা করতে পারব না। যা-ই হোক, তার সঙ্গে চা খেতে আমি আপত্তি করলাম না।’
‘বলাই বাহুল্য।’ বললাম আমরা।
‘আমরা একটা রেস্তরাঁয় গেলাম। সেখানে চা এবং চায়ের সঙ্গে অনেক ‘টা’ এসে গেল। চা-টা খেতে খেতে মেয়েটি বললে, ‘‘নিবু, তোমার মতো চমৎকার ছেলে আমি জীবনে দেখিনি’’।’
‘অ্যাঁ, বল কী? প্রদীপ জ্বলবার আগেই নিবু? নিবারণের আগেই নিবু-নিবু?’ আমরাও কম চমৎকৃত হই না।
‘বা:, এরমধ্যে আমাদের নাম জানাজানি হয়নি নাকি? তা ছাড়া মেয়েটি চোস্ত বাংলা জানত। ওর বাবা ছিল বাঙালি, মা বর্মি, বুঝেচ এবার?’
‘এতক্ষণে বুঝলাম। তোমার বেফাঁস করার পর।’
‘মেয়েটি বললে, ‘‘নিবু, তোমাকে আমি ভালোবাসি।’’…শুনে আমার হাসি পেল।’ বলল নিবারণ।
‘আমাদেরও পাচ্ছে।’ আমরা না হেসে পারি না। হাসতেই হয়।
‘কদ্দিন আমি বর্মায় থাকব, জিজ্ঞেস করল মেয়েটি। আমি বললাম, এই হপ্তা দুয়েক কি তার কিছু বেশি। আমি বেড়াতে এসেছি এখানে। দেখতে এসেছি বর্মা-মুলুকটা কেমন। আমি বললাম।…‘‘সেআমাকে দেখলেই টের পাবে, কেমন আমাদের মুলুক।’’ মেয়েটি বলল আমায়। আরও বলল যে তোমাদের ভারতবর্ষ যেমন সারা পৃথিবীর এপিটোম—আমিও তেমনি আমাদের বর্মার—ভালো কথা, এপিটোম মানে কী হে শিবু?’ নিবু আমায় জিজ্ঞেস করে।
‘একটা পিঠ।’ আমি সরল করে দিই—‘সাধু ভাষায় যাকে বলে পীঠস্থান। সংস্কৃত করে পীঠম বলতে পারো।’
‘তাহলে আমি সেই মেয়েটিকে পৃথিবীর অন্যপিঠ বলতে চাই।’
‘স্বচ্ছন্দে।’ নিবারণের প্রার্থনা মঞ্জুর করতে হয়।
‘মেয়েটি রেস্তরাঁ থেকে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল—মানে, তার নিজের পীঠস্থানে। সেকী-একখানা বাড়ি হে! বাড়ির বর্ণনা দেব?’
‘না না। মনশ্চক্ষে দেখতে পাচ্ছি বেশ।’ বাধা দিয়ে আমরা বলি।
‘বঁাচালে! আসল দেবীকে ফেলে, দেবীর পীঠস্থানের মাহাত্ম্য নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে আমার ভালো লাগে না।…‘‘আমার এত টাকা যে কী করে খরচ করব ভেবে পাই না। তুমি যে-কদিন বর্মায় আছ, এ বিষয়ে—এই টাকা ওড়ানোর ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করবে তো? কেমন?’’ আমার দিকে তাকিয়ে…এই কথাই বলল মেয়েটি আমায়।’
‘কথার মতো কথা! তা, তুমি কী বললে?’
‘আমি ওকে বোঝাবার চেষ্টা করলুম, বেশি বাজে খরচ করা ঠিক নয়। কিন্তু বৃথা চেষ্টা! কোনো যুক্তি-তর্কই মেয়েদের কাছে কখনো খাটে না। আমাকে রাজি হতে হল। কী করব?’
‘তুমি খুব মহাপ্রাণ! সত্যিই!’ আমাদের স্বীকার করতে হয়।
‘তারপরে আমরা দুজনে মিলে টাকা ওড়াবার কাজে লাগলাম। দিনরাত ফুর্তি করে—সাহেবি হোটেলে খানা খেয়ে—সিনেমা-থিয়েটার দেখে—এটা সেটা কিনে—কত আর ওড়ানো যায়? পরের টাকা এন্তার পেলেই-বা কী, টাকা ওড়াতে আমি আবার তেমন পারি না। অভ্যস্ত ছিলাম না তো কোনোদিন। ওড়াতে ওড়াতে আর উড়তে উড়তে শেষটায় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।’ ক্লান্তির দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল নিবারণ।
‘আহা, বাছা রে!’ আমাদেরও দীর্ঘনিশ্বাস পড়ে। আহা, বেচারার ওপর দিয়ে কত রকমের ধকলই-না গেছে!
‘দু-দিন আর দু-রাত নাগাড়ে— সেকী ফুর্তি! কিন্তু অত ফুর্তি আমার ধাতে সয় না। আগে কখনো অভ্যেস নেই তো! আমি তো ভাই, কাত হয়ে পড়লাম। মেয়েটি আমাকে কাহিল দেখে বললে, ‘‘তোমার বায়ু-পরিবর্তন দরকার’’।’
আমাদের একজন বলে উঠল— ‘ঠিক! নিবারণের এখন যে-বয়েস তাতে হয় বিবি নয় টিবি একটা কিছু না ধরে যায় না। এমনকী ওদের একটা ধরলেও আরেকটা ধরতে পারে—একটার পর একটা!’
‘টিবি তোমাদের ধরুক।’ নিবারণ মুখ গোমড়া করে বলে।
‘আহা, ওর কথায় কান দিয়ো না। গানের যেমন গিটকিরি, তেমনি টানের জন্য টিটকিরি। মেয়েটির তোমার ওপর টান দেখে ওর খুব প্রাণে লাগছে। তাই ও-কথা বলছে—তুমি বুঝচ না?’
‘তা কি আর আমি বুঝিনে? হিংসেয় জ্বলে মরছ সবাই—আমার সৌভাগ্য দেখে। তা জ্বলবেই তো, আশ্চর্য নয়। এখন যা বলছিলাম, মেয়েটি বলল, ‘‘তোমার হাওয়া বদলানো দরকার। চলো তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাই। শহর থেকে দূরে পাড়াগাঁয়ে আমাদের বাড়ি আছে—সেই দেশের বাড়িতে দিন কতক কাটালেই তুমি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।’’ আমি বললাম, ‘সেই ভালো। আমি হচ্ছি শান্তিপ্রিয় লোক। শহরের হইচই আমার সহ্য হয় না।’
‘শান্তি বুঝি সেই মেয়েটির নাম?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘আহা, শোনোই-না ছাই। বাধাই দিচ্ছ কেবল। না, শান্তি তার নাম নয়। শান্তির চোদ্দো পুরুষ না। তারপর মেয়েটির মোটরে আমরা তার পাড়াগেঁয়ে বাড়ির দিকে পাড়ি দিলুম—সে-ই গাড়ি চালিয়ে চলল।’ ভাবে বিভোর হয়ে চুপ করল নিবারণ।
‘আবার থামলে কেন?’ তাড়া লাগাতে হল—‘গাড়ি চালাতে চালাতে থামতে আছে।’
‘বর্মার পাড়াগাঁ যে কী সুন্দর তা আর কী বলব! ছবির মতো ভেসে উঠতে লাগল আমাদের পথের দু-ধারে। অনেক অপরূপ গ্রাম পার হয়ে অবশেষে একটা বাংলো প্যাটার্নের বাড়ির সামনে গিয়ে আমরা থামলাম।’
‘আর বলতে হবে না।’ আমরা বলি—‘সেই মেয়েটির বাড়ি।’
‘ধরেচ ঠিক। নির্জন পাহাড়তলির একধারে স্বপ্নাচ্ছন্ন সেই বাংলো। বাংলোর সংলগ্ন বাগান—বাগান কী উপবন তা আমি ঠিক বলতে পারব না। তবে গহন অরণ্য তাকে বলা যায় না। যা-ই হোক, তার শহরের বাড়িতে তবু অনেক দাসদাসী ছিল…এখানে একটিমাত্র অশীতিপর বুড়ো লোক—সে-ই ছোট্ট বাড়িটুকু আগলাচ্ছে। মেয়েটি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হাসি হাসতে লাগল।’
‘ভূতুড়ে বাড়ি বুঝি?’ শুনেই আমাদের সবার গা ছমছম করে।
‘না না, ভূতুড়ে বাড়ি কেন হবে? কেউ অদ্ভুতরকম হাসি হাসলেই বুঝি ভূতুড়ে ব্যাপার হয়? তার অদ্ভুত হাসি দেখেই আমি বুঝতে পারলাম যে সেই ছোট্ট বাড়িখানায় ঘরের মতো ঘর মোটে একটি। আর সেইটিই শোবার ঘর। আমি তাকে বললাম, আমায় যদি বারান্দায় শুতে হয় তো আমি গেছি—’
‘বাঘেই টেনে নিয়ে যাবে, তাই না?’ আমরা আন্দাজ পাই।
‘বাঘ না তোমাদের মুন্ডু! মেয়েটি বললে, ‘‘বারান্দায় কেন, তুমি আমার ঘরে থাকবে। তুমি হচ্ছ আমার অতিথি। অতিথি নারায়ণ’’।’
‘তখন তোমার অদ্ভুত হাসির পালা এল, কেমন? কী বল?’
‘তখন আমি তার অদ্ভুত হাসির মানে বুঝতে পারলাম। এতক্ষণে আসল মানে টের পেলাম। সত্যি, এত প্যাঁচ জানে মেয়েরা! আমি কিন্তু বললাম, না, তা কী করে হতে পারে? আমি তা কখনো পারব না। আমাদের এখনও বিয়ে হয়নি তো। আমি বললাম।’
‘!!!’ আমরা বললাম—নিবারণের কথা শুনে না বলে আমরা পারলাম না।
‘অবাক হচ্ছ? কিন্তু অবাক হবার কিছুই এতে নেই। তোমাদের সমস্বরে নির্বাক হতে দেখে আমি বরং অবাক হলাম। এসব বিষয়ে জানই তো, আমি হচ্ছি সেকেলে—পুরোদস্তুর মরালিস্ট। আমার মতে, প্রেম করা হচ্ছে এক, কিন্তু’—কিন্তুকে সেআর বেশি খোলসা না করে আরও খানিকটা নিজের খোলস ছাড়ে—‘তোমাদের একেলে অতি আধুনিকের মতো এসব বিষয়ে আমি অতটা প্রগতিশীল নই, একথা তোমরা তো জান?’
‘জানি বই কী।’ এতক্ষণে আমাদের কথা বলার ক্ষমতা ফেরে—‘তুমি যে জ্যান্তলিস্টের ভেতরে পড় না তা কি আর আমরা জানিনে?’
‘আমার কথা শুনে হাসতে লাগল মেয়েটা।’ নিবারণ জানাল।
‘হাসবেই তো। না হেসে কী করে?’ আমরা মন্তব্য করি—‘নারীমাত্রই আনাড়ি দেখলে হেসে থাকে।’
‘বেশ, ঘরে থাকতে তোমার আপত্তি থাকে, আমরা দুজনেই নাহয়, বারান্দায় থাকব। যদি তুমি নেহাত ঘরের বার করতেই চাও।—’ মেয়েটি এই কথা বললে আমায়।’
‘তুমি তাই চাইলে?’ আমরা জানতে চাইলাম। ‘ঘর কৈনু বাহির, বাহির কৈনু ঘর—?’
‘না।’ বলল নিবারণ—‘ভেবে দেখলাম, বারান্দার চেয়ে ঘরই প্রশস্ত। ও যখন আমাকে ছাড়া থাকবে না তখন আমি আর কী করতে পারি? আমার যতটুকু কর্তব্য করা গেল—বলেই আমি খালাস! তারপর ও যদি আমার কথায় কান না দেয়—নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনে তাতে আর আমার কী করবার আছে? তোমরাই বলো।’
‘কিচ্ছু না।’ আমরা সায় দিই—‘তোমার কী? যার যাবার যাবে। তোমার কী যায়-আসে?’
‘তারপর যে-কদিন আমি বর্মায় ছিলুম, দিনের বেলায় শহরে আমরা খেতে যেতুম, আর সন্ধ্যের দিকে ফিরে আসতুম সেই বাংলোয়। কী আরামেই-না স্বপ্নের মতো সেই দিনগুলি আমাদের কেটেছিল। আহা!’
‘আ হা হা!’ ওর সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও হাহাকার শোনা গেল।
‘দিন কুড়ি আমরা একসাথে কাটিয়েছি—শয়নে, স্বপনে, আহারে, বিহারে, মোটরে এবং পদব্রজে—সেই সুখের দিনগুলি!—প্রত্যেকটি দিনের—তার প্রত্যেক মুহূর্তের প্রত্যেকটি কথা এখনও আমার মনে ভাসছে। সে-স্মৃতি আমার যাবার নয়। এ জীবনে না।’
‘তা, তোমার সেই মেয়েটির নামটি কী?’ আমরা শেষ প্রশ্নে এলাম অবশেষে।
‘মেয়েটির নাম?’ নাম? নাম—বর্মি মেয়েদের নাম যেমন হয়ে থাকে—তাই! তা ছাড়া আবার কী?’ নিবারণের উপসংহার হয়।
—‘তোমরা নেহাত গাধা তাই নাম জিজ্ঞেস করছ। আমি তার নাম বলে দিই, আর তোমরা তার বদনাম গেয়ে বেড়াও—মাইরি আর কী!’
Post a Comment